• শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
Headline
শ্রীপুর অসহায় পরিবারের উপরে নির্যাতন পিটিয়ে আহত এক। গফরগাঁও পাগলায় কৃষকের জমির টাকা না দিয়ে মৎস্য চাষের অভিযোগ শ্রীপুর পৌরসভা কৃষক দলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন। ভালুকায় পূর্বের শত্রুতার জেরে পিটিয়ে আহত। আরিফুল ইসলাম সরকারের শুভ জন্মদিন। শ্রীপুরে ভিন্ন আয়োজন করে জন্মদিন পালন করা হয়েছে। শ্রীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার।  গফরগাঁও পাগলা থানা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনায় ইফতার। গফরগাঁওয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া ও ইফতার মাহফিল। শ্রীপুরে ২৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

গরমে শিশুর আরাম

Reporter Name / ২৭৪ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

পোশাক নির্বাচনের সময় প্রথম শব্দ যেটি মাথায় আসতে হবে তা হলো, আরাম। কাপড়, কাট আর নকশা মিলিয়ে শেষ শব্দটিও হতে হবে আরাম। খাবার দেওয়ার সময়ও চিন্তা করতে হবে পুষ্টিগুণ। গরমে স্বস্তি দেবে এমন খাবারই বেছে নিতে হবে। সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। এমন তিন-চারটি বিষয়ের দিকে ভালোভাবে খেয়াল রাখলেই পুরো গরমে শিশু থাকবে সুস্থ।

পোশাক-পরিচ্ছদ

শিশুকে ঢিলেঢালা পোশাক পরান। সুতি কাপড়ই এই সময়ের জন্য ভালো। গরমে ঘেমে গেলে পোশাক বদলে দিন। হুটহাট বৃষ্টিও নামতে পারে। শিশু বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও যত দ্রুত সম্ভব পোশাক বদলে দিন।

গোসলে-পরিচ্ছন্নতায়

প্রতিদিন নিরাপদ পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করান। গোসলের সময় সাবান দিয়ে ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করিয়ে দিতে হবে। গোসলের পরপরই ভালোভাবে শরীর মুছে দিন। চুল আর চুলের গোড়া মুছে দিন ঠিকঠাক। আঙুলের ফাঁকেও যেন ভেজা না থাকে। শরীর মুছে দেওয়ার পর হালকাভাবে পাউডার লাগাতে পারেন। ঘেমে গেলেও একইভাবে শরীর ও চুল মুছে দেওয়া জরুরি। প্রথমে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নিতে পারেন। তবে সারা দিনে একবারের বেশি গোসল না করানোই ভালো।

যা চাই তা-ই খাই

শিশু যখন যা চাইবে, তা খেতে দেওয়ার আগে ভেবে দেখতে হবে, এটি ওর জন্য ভালো কি না। আবার অনেক সময় শিশু না চাইলেও ওর ভালোর জন্য বুঝিয়ে কিছু খাবার দিতে হয়। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেলা আখতারের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পানি পান করানো জরুরি। পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। মৌসুমি ফল ও সবজি খাওয়ান। ফলের রস বা জুস দেওয়া যেতে পারে, তবে তা ঘরে তৈরি করে দেওয়া গেলে শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো। রাস্তার পাশ থেকে কাটা ফল, ফল মাখানো, আইসক্রিম, শরবত বা অন্য কোনো খাবার কিনে খাওয়ানো উচিত নয়। এগুলোর কারণে ডায়রিয়া, বমি, টাইফয়েড, এমনকি হেপাটাইটিস হতে পারে। বাড়িতেও খাবার ঢেকে রাখুন। টাটকা খাবার পরিবেশন করুন। বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন। ভাজাপোড়া ও তেল-চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। কোমল পানীয় পরিহার করাই স্বাস্থ্যসম্মত।

রাস্তার পাশ থেকে খাবার কিনে দিলে শিশুর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে

চাই প্রশান্তি

কড়া রোদে শিশুকে বাইরে না নেওয়াই ভালো। খেলাধুলা করার জন্যও ছায়াঘেরা স্থান বেছে নিন। ঘেমেনেয়ে বাসায় ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি বা পানীয় দেওয়া ঠিক নয়। বাসায় ফেরার পর শিশুকে খানিকটা সময় ফ্যানের বাতাসে বসিয়ে রাখুন। এই সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিতে পারেন। ঠান্ডা পানি দিতে হলে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের মাধ্যমে ঘর ঠান্ডা করতে চাইলে সেটিও করুন বাড়ি ফেরার কিছুটা সময় পর। আবার সব সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র ব্যবহার না করাই ভালো। খোলামেলা পরিবেশে রাখুন শিশুকে। ঘরের জানালা খুলে পর্দা সরিয়ে দিন। ফ্যানের বাতাসেই রাখুন তাকে। প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের সাহায্য নিন। শিশু পর্যাপ্ত পানি পান করছে কি না, তা খেয়াল রাখুন।

শিশুর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্রাব হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর চুল বেশি বড় রাখা ঠিক নয়। বড় চুলের কারণে গরমে-ঘামে অস্বস্তিতে পড়তে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category